কুষ্টিয়া জেলার মুসলমানদের জন্য ২০২৫ সালের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি। এখানে পাবেন প্রতিদিনের সেহরি ও ইফতার সময়, রোজার নিয়ম ও ইসলামিক পরামর্শ। সঠিক সময়সূচি জেনে নিন এবং রোজা পালন করুন নির্ভুলভাবে।
কুষ্টিয়া জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি
এই তথ্যসূত্র এবং সময়সূচি সম্পূর্ণ নিচের ইমেজ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে অথবা সময়সূচির সাথে সম্পর্কিত কোনো সংশোধনী প্রয়োজন, তবে অনুগ্রহ করে কমেন্টে জানিয়ে দিন। আমরা যথাসম্ভব দ্রুত তা সংশোধন করে দেব।
Also Read
- ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ গান: ঈদের গান, ঈদের নতুন গান
- বিশ্বের ১০টি মুসলিম-প্রধান দেশ: রমজান মাসের ধর্মীয়, সামাজিক ও বাজার পরিস্থিতির বিশ্লেষণ
- লাইলাতুল কদর – হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাতের ফজিলত ও আমল
- এই বছর ফিতরা কত টাকা ২০২৫? • Ei Bochor Fitra Kot Taka 2025
- ফিতরা কত টাকা ২০২৫ • Fitra Kot Taka 2025 | জানুন সর্বশেষ নির্ধারিত হার ও আদায়ের নিয়ম

ইফতারের দোয়া ও রমজানের ফজিলত
রমজান মাস মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। এই মাসে রোজাদারদের জন্য ইফতার বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের ইফতার তাড়াতাড়ি করার এবং নির্দিষ্ট দোয়া পড়ার তাগিদ দিয়েছেন।
ইফতারের দোয়া
ইফতারের সময় দোয়া করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়। তাই ইফতারের সময় নিম্নোক্ত দোয়া পড়তে পারেন—
اَللّٰهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَعَلَىٰ رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ
উচ্চারণ:
“আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু।”
অর্থ:
হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি, তোমার ওপর ঈমান এনেছি, তোমার উপর ভরসা করেছি এবং তোমার দেওয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি।
অন্য একটি সহিহ হাদিসে উল্লেখ আছে, ইফতার শেষে এই দোয়া পড়া যাবে—
“যাহাবায যামাউ ওয়াবতাল্লাতিল উরূকু ওয়া ছাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ।”
অর্থ:
পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপশিরা সিক্ত হলো এবং আল্লাহ চাইলে (এই রোজার) প্রতিদান স্থির হয়ে গেল।
(আবু দাউদ, হা/২৩৫৭)
ইফতার দ্রুত করা সুন্নত
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
“যতদিন লোকেরা তাড়াতাড়ি (সূর্যাস্তের সাথে সাথে) ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।”
(ছহীহ বুখারী, হা/১৯৫৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১০৯৮)
অর্থাৎ, ইফতার দেরি না করে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে করা উচিত। এটি নবীজির সুন্নত এবং বরকতময় একটি কাজ।
তারাবিহর নামাজের গুরুত্ব
রমজান মাসে তারাবিহর নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন—
“যে ব্যক্তি ঈমানের সহিত ছওয়াবের আশায় রমজানের রাত্রিতে তারাবীহর সালাত আদায় করবে, তার পূর্বের সকল পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।”
(ছহীহ বুখারী, হা/৩৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৫৯)
রমজান মাস ইবাদতের মাস, ক্ষমা লাভের মাস। এই মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে গুরুত্বের সাথে কাটানো উচিত। ইফতারের সময় দোয়া করা, তারাবিহ নামাজ আদায় করা, সঠিক সময়ে ইফতার করা—এসব সুন্নত মেনে চললে রমজানের পূর্ণ ফজিলত লাভ করা সম্ভব হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের যথাযথ আদব মেনে চলার তাওফিক দিন, আমিন।