“ইসকন নিষিদ্ধ” সম্পর্কিত বিষয়টি বর্তমানে একটি আলোচিত ইস্যু। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসকনের নিষিদ্ধ হওয়ার পেছনের কারণগুলো এবং এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। ইসকন কোথায় নিষিদ্ধ, কিভাবে বিতর্কের সৃষ্টি হয়, এবং বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে এটির বর্তমান অবস্থা কী সবকিছুই খুঁজে পাবেন আমাদের এই পোস্টে।

বিশ্বের যেসব দেশে নিষিদ্ধ ইসকন
ইসকন (ISKCON), যা হারে কৃষ্ণ আন্দোলন নামেও পরিচিত, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতা বা নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। সিঙ্গাপুরে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে সরকারি ধর্মীয় বিধি-নিষেধের কারণে, যেখানে জনশৃঙ্খলা বা নৈতিকতার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত কোনো ধর্মীয় প্রচার কার্যক্রম সীমিত রাখা হয়। দেশটির সরকার ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করলেও জনস্বার্থ বা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ করে থাকে। তবে সঠিকভাবে ইসকনের উপর নিষেধাজ্ঞা বা সীমাবদ্ধতার আরও তথ্যের জন্য নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলি পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।
নিষিদ্ধ ইসকন
ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনশাসনেস) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কারণে বিতর্কিত হয়েছে। তবে, পুরোপুরি নিষিদ্ধ হওয়ার তথ্য সীমিত এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি স্থানীয় বিধিনিষেধ বা নিয়ন্ত্রণের আওতায় পড়ে। যেমন:
- সিঙ্গাপুর: ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নয় তবে কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। সিঙ্গাপুর সরকার জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা রক্ষার জন্য ধর্মীয় প্রচার সীমিত করে থাকে।
- রাশিয়া: কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় ইসকনের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়ায় ইসকন মন্দিরের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছে, বিশেষত মস্কোতে মন্দির নির্মাণ নিয়ে বিতর্ক ছিল।
ইসকনের বিতর্কিত হওয়ার পেছনে ধর্মীয় মতবিরোধ, ধর্মান্তর প্রচারের অভিযোগ এবং স্থানীয় সামাজিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থানের মতো বিষয়গুলো কাজ করে। তবে নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চলে নিষেধাজ্ঞার সুনির্দিষ্ট তথ্যের জন্য আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান প্রয়োজন।
ইসকন কোথায় নিষিদ্ধ
ইসকন (ISKCON) পুরোপুরি নিষিদ্ধ এমন দেশ খুব কম, তবে কিছু দেশে এটি কঠোর নিয়ন্ত্রণ বা সীমাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ:
1. সিঙ্গাপুর
সিঙ্গাপুরে ইসকনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জনশৃঙ্খলা এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির স্বার্থে সিঙ্গাপুর সরকার ধর্মীয় সংগঠনগুলোর ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে থাকে। ইসকনের জনসমাগম ও ধর্মীয় প্রচার কার্যক্রম এখানে সীমিত।
2. রাশিয়া
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষত মস্কোতে, ইসকনের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ দেখা গেছে। মস্কোতে ইসকনের একটি মন্দির বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার মুখে পড়েছিল। তবে এটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ নয়, বরং স্থানীয় প্রশাসনিক বাধার সম্মুখীন।
নির্দিষ্টভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধের উদাহরণ সীমিত হলেও বিভিন্ন দেশে ইসকন বিতর্কিত হয়েছে মূলত ধর্মীয় ও সামাজিক কারণে।
বাংলাদেশে কি ইসকন নিষিদ্ধ করা হবে ?
বর্তমানে বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ নয়, তবে এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। হেফাজতে ইসলাম এবং কিছু অন্যান্য গোষ্ঠী ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে, তাদের অভিযোগ হলো ইসকন ধর্মীয় সহিংসতায় লিপ্ত এবং সনাতন ধর্মের প্রতিফলন নয়। তবে সরকার এখনো এই বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধরনের দাবির প্রতি কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি এসব দাবিকে অপ্রয়োজনীয় এবং উস্কানিমূলক বলে আখ্যা দিয়েছেন।
নিষিদ্ধ হচ্ছে ইসকন
বর্তমানে বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ হচ্ছে এমন কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত নেই। তবে, সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামসহ কিছু ধর্মীয় সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে। তাদের মতে, ইসকন ধর্মীয় আচার-আচরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এমন দাবি তোলার পর, সরকার এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, তবে এখনো নিষেধাজ্ঞার কোনো ঘোষণা দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধরনের দাবির প্রতি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন এবং এটি সরকারীভাবে নিষিদ্ধ করার কোনো ইঙ্গিত নেই।
ইসকন কি নিষিদ্ধ
ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) বর্তমানে বিশ্বে বেশ কিছু দেশে নিষিদ্ধ নয়, তবে কিছু দেশে তাদের কার্যক্রম সীমিত বা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, সিঙ্গাপুর এবং রাশিয়া-তে ইসকন ধর্মীয় এবং সামাজিক কারণে কঠোর নিয়ন্ত্রণের সম্মুখীন হয়েছে, যদিও সেখানে এটি পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়নি।
বাংলাদেশে, ইসকন নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কিছু বিতর্ক উঠেছে। বিশেষত হেফাজতে ইসলাম সহ কিছু ধর্মীয় সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে, তবে সরকার এখনও এর বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেনি।
এই মুহূর্তে, ইসকনকে নিষিদ্ধ করার কোনো আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ইসকন নিউজ
ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) সম্প্রতি কিছু গুরুত্বপূর্ণ খবরের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। একটি বড় খবর হলো, ইসকন ইসরায়েলে চলমান সংঘর্ষের কারণে স্থানীয় দায়িত্ব পালন করছে। ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষের মধ্যে অনেক ইসকন ভক্ত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন এবং কেউ কেউ সামরিক কার্যক্রমে জড়িত আছেন। তবে, ভক্তরা তাদের দৈনন্দিন প্রার্থনা, খাবার বিতরণ এবং মানসিক সহায়তা প্রদানে সেজন্য একত্রিত হচ্ছেন।
আরেকটি বড় খবর হলো গিরিরাজ স্বামীর স্বাস্থ্য নিয়ে। তিনি বিহেভিয়োরাল ভেরিয়েন্ট ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়া (bvFTD) নামক একটি মস্তিষ্কজনিত রোগে আক্রান্ত, যা তার মানসিক দক্ষতা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। তার রোগের কারণে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, যার মধ্যে একটি হলো আর্থিক জালিয়াতি। এ সময়ে, ইসকনের গভর্নিং বডি কমিশন (GBC) তার চিকিৎসা এবং ভক্তদের সহায়তায় সহায়তা করছে।
এই খবরগুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আপনি ISKCON News পরিদর্শন করতে পারেন।
বাংলাদেশের ইসকন খবর
বাংলাদেশে ইসকন সম্প্রদায় বর্তমানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খবরের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, বাংলাদেশের ইসকন নেতা, ঢাকা পুলিশ দ্বারা আটক হয়েছেন। তার গ্রেফতারের ঘটনাটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এবং বেশ কিছু ধর্মীয় সংগঠন এবং বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্বরা এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সাদ্গুরুও এই ঘটনার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন, যেখানে তিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূলনীতির অবক্ষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা এবং তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আক্রমণও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসকন মন্দিরগুলোর উপর হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, যা দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
এ পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ইসকন সদস্য
ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) একটি বৈশ্বিক ধর্মীয় আন্দোলন, যার উদ্দেশ্য হল ভগবান কৃষ্ণের প্রতি ভক্তি এবং শ্রদ্ধার চর্চা। এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল A.C. Bhaktivedanta Swami Prabhupada এর নেতৃত্বে, এবং এর সদস্যরা প্রধানত ভক্তি যোগ (ভগবান কৃষ্ণের প্রতি ভালোবাসা এবং সেবা) চর্চা করে। ইসকন আন্দোলনের সদস্যরা বিশ্বজুড়ে নানা ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন, যেমন কীর্তন (ধর্মীয় গান), শাস্ত্র অধ্যয়ন, এবং দাতব্য কাজ।
ইসকন সদস্যরা একে অপরকে সমর্থন এবং উদ্বুদ্ধ করার জন্য নানা প্রোগ্রাম আয়োজন করে, যেমন অন্ন দান, শিক্ষা কার্যক্রম, এবং আন্তঃধর্মীয় আলোচনা। সদস্যরা ইসকনের মূল শিক্ষা প্রচারের জন্য বিভিন্ন সামাজিক এবং ধর্মীয় উদ্যোগে অংশ নেয়। ইসকনের ওয়েবসাইটে, যারা এই ধর্মীয় আন্দোলনে যোগ দিতে চান, তাদের জন্য বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে।
এই সকল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে, ইসকন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভক্তি এবং ভগবান কৃষ্ণের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
ইসকন নিষিদ্ধ কোথায়
ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) কিছু দেশে নিষিদ্ধ বা বিতর্কিত হয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের কিছু সম্প্রদায় এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে সম্প্রতি একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে, যেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। এই দাবি উঠেছে ইসকনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত করার অভিযোগে, যদিও ইসকন তার বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বাংলাদেশে এর মধ্যে বেশ কিছু মন্দিরে হামলার ঘটনাও ঘটেছে, যা আরও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
এছাড়াও, কিছু দেশের ধর্মীয় বা রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ইসকনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে ইসকন বিশ্বব্যাপী নিষিদ্ধ নয়, এবং একাধিক দেশে তাদের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চলছে।
ইসকন সংগঠন
ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) একটি বৈশ্বিক ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যার মূল উদ্দেশ্য হল ভগবান কৃষ্ণের প্রতি ভক্তি এবং শ্রদ্ধা চর্চা করা। ১৯৬৬ সালে A.C. Bhaktivedanta Swami Prabhupada এর নেতৃত্বে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। ইসকন সংগঠনটি ভগবান কৃষ্ণের আদর্শ প্রচার ও বিশ্বজুড়ে কৃষ্ণভক্তির বিস্তার সাধন করে।
ইসকন সদস্যরা তাদের দৈনন্দিন জীবনে ভগবান কৃষ্ণের নাম জপ, কীর্তন (ধর্মীয় গান) এবং ভগবদ্গীতার শিক্ষা প্রচারের মাধ্যমে ভক্তি যোগ চর্চা করে। সংগঠনটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মন্দির, শিক্ষাকেন্দ্র এবং দাতব্য কাজের মাধ্যমে সেবা প্রদান করছে।
ইসকনের সদস্যরা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট জীবনধারা অনুসরণ করেন, যার মধ্যে সারা পৃথিবী জুড়ে কৃষ্ণের ভক্তি কার্যক্রম এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত। ইসকন মন্দিরে পূজা, নাম সংকীর্তন, এবং ভক্তি সম্পর্কিত শিক্ষাদান এই সংগঠনের মৌলিক কার্যক্রম।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসকন একাধিক মন্দির ও কেন্দ্র পরিচালনা করে, এবং ধর্মীয় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ধর্মীয় সচেতনতা ও ভালোবাসা তৈরি করে থাকে।
ইসকন কয়টি দেশে নিষিদ্ধ ?
যেসব দেশে ইসকন নিষিদ্ধ
ইসকন কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়
ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) ১৯৬৬ সালে A.C. Bhaktivedanta Swami Prabhupada কর্তৃক নিউ ইয়র্ক সিটিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল কৃষ্ণের প্রতি ভক্তি প্রচার এবং মানব জাতিকে ভগবান কৃষ্ণের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে সাহায্য করা।
এটি বিশেষত ভগবদ গীতা এবং ভাগবত পুরাণ এর আদর্শে ভিত্তি করে এবং বিশ্বব্যাপী ভগবান কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে একটি বৈশ্বিক ভক্তি আন্দোলন শুরু করে। ইসকনের প্রতিষ্ঠার পর এটি দ্রুত সম্প্রসারিত হয় এবং পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
ইসকন কারা
ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) হল একটি বৈশ্বিক হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন, যা বিশেষত ভগবান কৃষ্ণের প্রতি ভক্তি এবং ভগবতী আদর্শে বিশ্বাসী। ইসকনের সদস্যরা “ভক্ত” বা কৃষ্ণের ভক্ত হিসেবে পরিচিত। ইসকন প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে শ্রীল ভক্তিভেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ কর্তৃক, যিনি এই আন্দোলনটির প্রতিষ্ঠাতা।
ইসকনের সদস্যরা প্রধানত ভগবদ গীতা এবং ভাগবত পুরাণ এর উপদেশ অনুসরণ করেন এবং তারা কৃষ্ণের প্রতি একনিষ্ঠ ভক্তি ও সাধনা করেন। এর সদস্যরা সাধনা, ভজন, এবং কৃষ্ণের নামের জপের মাধ্যমে তাদের আধ্যাত্মিক জীবনের উন্নতি সাধন করেন। ইসকন সদস্যরা সাধারণত লাক্টো-ভেজিটেরিয়ান আহার গ্রহণ করেন এবং ভগবানের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শন করেন।