১০ টাকার কয়েন আসছে? এই ব্লগ পোস্টে বাংলাদেশে ১০ টাকার কয়েনের আগমন, টাকার কয়েনের ইতিহাস, এবং এর প্রয়োজনীয়তা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

১০ টাকার কয়েন আসছে? বাংলাদেশের মুদ্রাব্যবস্থায় নতুন সংযোজন হিসেবে ১০ টাকার কয়েনের আগমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই ব্লগ পোস্টে আমরা ১০ টাকার কয়েন আসছে?, টাকার কয়েনের ইতিহাস, এবং এর প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
Also Read
- Eco-Friendly Living: Top Sustainable Products for a Greener Home in Bangladesh
- ২০২৫ সালে অনলাইনে ভিসা চেক করুন — মাত্র ৫ মিনিটে!
- ডট বাংলা ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন: SEO প্রভাব ও খরচ সম্পর্কিত সবকিছু (A to Z Guide)
- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারি কি? ইতিহাস, বক্তব্য ও গান | ২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
- Banglalink Balance Check: How to Check Balance, Internet, SMS in 2025 via USSD, MyBL App, RYZE App & Website
১০ টাকার কয়েন আসছে?
বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধাতব মুদ্রার ব্যবহার ধরে রাখতে ১০ টাকার কয়েন বাজারে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বিরূপাক্ষ পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ২০১৭ সালের শুরু থেকেই ১০ টাকার কয়েন বাজারে আসতে পারে। এছাড়া ভবিষ্যতে ২০ ও ২৫ টাকার কয়েন বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
দশ টাকার কয়েনের সর্বশেষ আপডেট
বাংলাদেশের মুদ্রাবাজারে আসছে ১০ টাকা মূল্যমানের কয়েন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ দাবি করেছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিম। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে ১০ টাকার কয়েন আসছে! সেই সঙ্গে একটি ছবি ট্যাগ করেছেন তিনি।
১০ টাকার কয়েনের সর্বশেষ আপডেট
HiFi Digital নামের এক ফেসবুক পেজ থেকে হুবহু এই পোস্ট করেছেন অপি করিম। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, সেটি একটি পাবলিক রিলেশনস এজেন্সি। জনসংযোগ সংস্থা ও অপি করিমের ভাষ্য আদৌ আশার আলো দেখে কিনা, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
টাকার কয়েনের ইতিহাস
বাংলাদেশের মুদ্রাব্যবস্থায় কয়েনের ব্যবহার দীর্ঘদিনের। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে ৫ পয়সা, ১০ পয়সা, ২৫ পয়সা এবং ৫০ পয়সার কয়েনের প্রচলন শুরু হয়। এরপর ১৯৭৪ সালে ১ পয়সা এবং ১৯৭৫ সালে ১ টাকার ধাতব মুদ্রা প্রবর্তন করা হয়। বর্তমানে ১, ২, এবং ৫ টাকার কয়েন প্রচলিত রয়েছে।
বাংলাদেশের টাকার ইতিহাস সম্পর্কে আরও জানতে, নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন:
১০ টাকার কয়েনের প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধা
দীর্ঘস্থায়ীতা
কয়েন কাগজের নোটের তুলনায় বেশি সময় টিকে। কাগজের নোট সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরিবর্তন করতে হয়, যা অর্থনৈতিকভাবে ব্যয়বহুল। কয়েনের দীর্ঘস্থায়ীতা অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনে।
বহনযোগ্যতা ও ব্যবহার
কয়েন সহজে বহনযোগ্য এবং দৈনন্দিন লেনদেনে সুবিধা প্রদান করে। বিশেষকরে ছোট লেনদেনে কয়েনের ব্যবহার ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের জন্যই সুবিধাজনক।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বাংলাদেশ ব্যাংক ভবিষ্যতে ২০ ও ২৫ টাকার কয়েন বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে, যা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি মুদ্রাব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে।
সাধারণ জনগণের প্রতিক্রিয়া
সামাজিক মাধ্যমে ১০ টাকার কয়েনের আগমন নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। কয়েনের ব্যবহার নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কেউ কেউ কয়েনের ব্যবহারকে স্বাগত জানিয়েছেন, আবার কেউ কেউ কয়েনের ওজন ও বহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
শেষ কথা
১০ টাকার কয়েনের আগমন বাংলাদেশের মুদ্রাব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হতে পারে। টাকার কয়েনের বিবর্তন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও জনসচেতনতার মাধ্যমে কয়েনের ব্যবহার আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।