স্কয়ার গ্রুপ • মালিক ও চেয়ারম্যান, সাফল্য, ইতিহাস ও ২০২৪ ২০২৫ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

স্কয়ার গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যা স্বাস্থ্যসেবা, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, টেক্সটাইল, এবং কসমেটিক্সসহ বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি আজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।

স্কয়ার গ্রুপ

স্কয়ার গ্রুপ (কোম্পানি)

স্কয়ার গ্রুপ একটি বহুমুখী এবং বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যা বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। এটি মূলত ফার্মাসিউটিক্যালস (ওষুধ), ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, টেক্সটাইল, কসমেটিকস, এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে কাজ করে।

স্কয়ার গ্রুপের কার্যক্রম:

১. স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড:
এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঔষধ উৎপাদনকারী কোম্পানি। তারা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহ করে।

২. স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ:
স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ খাদ্যপণ্য যেমন জুস, চা, নুডলস, এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাবার সরবরাহ করে।

৩. স্কয়ার টেক্সটাইল:
স্কয়ার গ্রুপের টেক্সটাইল বিভাগ দেশের এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মানসম্পন্ন টেক্সটাইল পণ্য সরবরাহ করে।

৪. স্কয়ার কসমেটিকস:
বিভিন্ন রকমের কসমেটিকস এবং ব্যক্তিগত যত্নের পণ্য তৈরি করে।

৫. স্বাস্থ্যসেবা এবং হাসপাতাল:
স্কয়ার গ্রুপ স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও বিশাল অবদান রেখেছে। তারা স্কয়ার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছে, যা আধুনিক চিকিৎসাসেবা প্রদান করে।

স্কয়ার গ্রুপের প্রধান বৈশিষ্ট্য:

  • গুণগত মান বজায় রেখে ব্যবসা পরিচালনা।
  • সামাজিক দায়িত্ব পালন।
  • আন্তর্জাতিক বাজারে শক্তিশালী অবস্থান।

স্কয়ার গ্রুপ ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি আজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

স্কয়ার গ্রুপ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪

স্কয়ার গ্রুপ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, স্কয়ার গ্রুপের বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করা হলো:

স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

  1. পদের নাম: এক্সিকিউটিভ (কোয়ালিটি অপারেশন)
  2. শিক্ষাগত যোগ্যতা: রসায়নে এমএসসি।
  3. অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ২-৩ বছরের অভিজ্ঞতা।
  4. বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩২ বছর।
  5. কর্মস্থল: নারায়ণগঞ্জ।
  6. আবেদনের শেষ সময়: ২৯ নভেম্বর ২০২৪।
  7. বেতন ও সুবিধা: আলোচনা সাপেক্ষে এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা।

স্কয়ার গ্রুপে আবেদন করার পদ্ধতি

  • আবেদন করতে হবে অনলাইনে, স্কয়ার গ্রুপের অফিসিয়াল সার্কুলারে উল্লেখিত নির্দেশনা অনুযায়ী।
  • আবেদন করতে বিডি জবস (Bdjobs) ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।
  • আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে তথ্য সঠিকভাবে যাচাই করে সাবমিট করতে হবে।

চাকরির পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার

  • আবেদনকারীদের মোবাইল নম্বর বা ইমেইলের মাধ্যমে পরীক্ষার তারিখ ও সময় জানানো হবে।
  • নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রার্থীদের যোগাযোগ মাধ্যম সচল রাখতে হবে।

অফিসিয়াল লিঙ্ক

আবেদন করতে বা বিস্তারিত জানতে বিডি জবসের অফিসিয়াল লিঙ্ক ব্যবহার করুন: Apply Now on Bdjobs

এছাড়াও স্কয়ার গ্রুপের অন্যান্য চাকরির বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কিত আপডেট জানতে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা প্রাসঙ্গিক পোর্টালগুলো অনুসরণ করুন।

স্কয়ার গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান কে

স্কয়ার গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন স্যামুয়েল এস চৌধুরী। তিনি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্বে রয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে স্কয়ার গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ও সম্মানিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আরও প্রসার লাভ করেছে। স্যামুয়েল এস চৌধুরী প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরীর ছেলে এবং প্রতিষ্ঠানটির উত্তরাধিকারী।

স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম চেয়ারম্যান কে

স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। তিনি ১৯৫৮ সালে স্কয়ার গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি ফার্মাসিউটিক্যাল খাত থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্যপণ্য, টেক্সটাইল, এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে প্রসার লাভ করে। স্যামসন এইচ চৌধুরী ছিলেন একজন দূরদর্শী উদ্যোক্তা, যিনি বাংলাদেশের কর্পোরেট খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

তিনি ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরের র‍্যাফেলস হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

স্কয়ার গ্রুপের সর্বশেষ কিছু খবর

স্কয়ার গ্রুপের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। অনিতা চৌধুরীর উত্তরাধিকারীরা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং স্কয়ার টেক্সটাইলের শেয়ার ভাগাভাগি করেছেন। তার সন্তান স্যামুয়েল এস চৌধুরী (চেয়ারম্যান), রত্না পাত্র (ভাইস চেয়ারম্যান), তপন চৌধুরী (ব্যবস্থাপনা পরিচালক), এবং অঞ্জন চৌধুরী (পরিচালক) এসব শেয়ারের উত্তরাধিকারী হয়েছেন। এটি স্কয়ার গ্রুপের ভবিষ্যৎ পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এছাড়া, স্কয়ার গ্রুপের আরও সম্প্রসারণ কার্যক্রম চলছে। কোম্পানি বর্তমানে কেনিয়ায় একটি ওষুধ উৎপাদন কারখানা নির্মাণ করছে, যা ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এটি তাদের বৈশ্বিক উপস্থিতি বাড়ানোর কৌশলের একটি অংশ।

স্কয়ার গ্রুপ উন্নতি ও লাভ করেছেন যেভাবে

স্কয়ার গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম সফল এবং বহুমুখী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, যা তাদের দক্ষ ব্যবস্থাপনা, নতুন নতুন উদ্যোগ এবং উচ্চমানের পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে উন্নতি ও লাভ অর্জন করেছে। তাদের উন্নতির কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

১. মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা

স্কয়ার গ্রুপের মূল ফোকাস সব সময় গুণগত মান বজায় রাখা। তাদের উৎপাদিত পণ্য যেমন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ঔষধ এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যক্তিগত যত্নের পণ্য বাজারে উচ্চ চাহিদা তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করায় তারা বিশ্বব্যাপী সফলতা অর্জন করেছে।

২. বহুমুখী ব্যবসায়িক কার্যক্রম

তারা ফার্মাসিউটিক্যালস, টেক্সটাইল, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, কসমেটিকস, এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো বিভিন্ন খাতে ব্যবসা পরিচালনা করে। এই বহুমুখী কার্যক্রম তাদের আয় বৃদ্ধি এবং ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেছে।

৩. অভিনব উদ্যোগ ও প্রযুক্তি ব্যবহার

স্কয়ার গ্রুপ সব সময় নতুন প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী পদ্ধতি ব্যবহার করে। তারা সম্প্রতি কেনিয়াতে একটি ঔষধ উৎপাদন কারখানা নির্মাণ করছে, যা তাদের বৈশ্বিক সম্প্রসারণের একটি বড় উদাহরণ।

৪. প্রশিক্ষিত জনবল ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা

প্রতিষ্ঠানটি অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত হয়। পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্বে রয়েছে দক্ষ ব্যক্তিরা, যারা প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের কৌশল নির্ধারণ করেন।

৫. সামাজিক দায়বদ্ধতা

তারা স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করে, যা প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড ইমেজ বৃদ্ধি করেছে।

৬. আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ

স্কয়ার গ্রুপ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করে তাদের আয় বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানি করে তারা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।

৭. উৎপাদন প্রক্রিয়ার আধুনিকীকরণ

তারা সর্বাধুনিক উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে। স্কয়ার গ্রুপ সবসময় পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই উৎপাদন পদ্ধতি অনুসরণ করে।

স্কয়ার গ্রুপের এই সাফল্যের গল্প তাদের প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরীর দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে শুরু হয় এবং পরবর্তীতে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ তা আরও উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

স্কয়ার গ্রুপ মালিক

স্কয়ার গ্রুপের বর্তমান মালিকানার বিষয়টি পরিবারভিত্তিক এবং প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরীর উত্তরাধিকারীদের মধ্যে ভাগ করা হয়েছে। স্কয়ার গ্রুপের প্রধান মালিকানায় রয়েছেন:

  1. স্যামুয়েল এস চৌধুরী – স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের বর্তমান চেয়ারম্যান।
  2. রত্না পাত্র – ভাইস চেয়ারম্যান।
  3. তপন চৌধুরী – ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
  4. অঞ্জন চৌধুরী – পরিচালক।

প্রতিষ্ঠানটির মূল শেয়ারহোল্ডাররা স্যামসন এইচ চৌধুরীর পরিবারের সদস্য। তাদের নেতৃত্বে স্কয়ার গ্রুপ একটি বৃহৎ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার অবস্থান শক্তিশালী করেছে।

স্কয়ার গ্রুপে সিকিউরিটি নিয়োগ ২০২৪

স্কয়ার গ্রুপে ২০২৪ সালের সিকিউরিটি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্কয়ার গ্রুপের বিভিন্ন শাখায় সিকিউরিটি পদের জন্য লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। চাকরি প্রার্থীরা নির্দিষ্ট যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন, তবে নির্দিষ্ট পদের সংখ্যা বা বেতন সম্পর্কে এখনো কোনো নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত অনলাইনে সম্পন্ন হয় এবং শেষ তারিখও অনেক ক্ষেত্রেই নির্ধারিত হয়।

এছাড়া, স্কয়ার গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেমন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডও বিভিন্ন পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সিকিউরিটি পদে আবেদন করতে আগ্রহী প্রার্থীরা নির্দিষ্ট যোগ্যতা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার জন্য বিডিজবস বা স্কয়ার গ্রুপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য আরও বিস্তারিত তথ্য বা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে স্কয়ার গ্রুপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা বিজ্ঞপ্তি দেখতে পারেন।

স্কয়ার গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান

স্কয়ার গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস চৌধুরী। তিনি স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরীর পুত্র এবং ২০১২ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। স্যামুয়েল চৌধুরী বাংলাদেশের একজন সফল ব্যবসায়ী এবং তিনি দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক গ্রুপগুলোর মধ্যে স্কয়ার গ্রুপকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

স্কয়ার গ্রুপের সাফল্যের পেছনে তার অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং তিনি এই গ্রুপের বিভিন্ন শাখায় উন্নতির জন্য অবিরত কাজ করে চলেছেন।

স্কয়ার গ্রুপ উইকিপিডিয়া ও পুরস্কার

স্কয়ার গ্রুপ একটি বহুজাতিক এবং পারিবারিক মালিকানাধীন কোম্পানি, যা বাংলাদেশে শুরু হলেও তার ব্যবসা বিভিন্ন শিল্পে ছড়িয়ে পড়েছে। এর শাখাগুলি ফার্মাসিউটিক্যালস, খাদ্য ও বেভারেজ, টেক্সটাইল, এবং অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে কাজ করছে। কোম্পানিটি নানা ধরনের পণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানি করে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, স্কয়ার টেক্সটাইলস, এবং স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ।

স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন আতাউল করিম। তিনি ১৯৫৮ সালে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তার নেতৃত্বে স্কয়ার গ্রুপ দ্রুত উন্নতি লাভ করে।

বর্তমানে, স্কয়ার গ্রুপের অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা রয়েছে। তাদের প্রধান অর্জনগুলির মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ এবং বাংলাদেশের খাদ্য শিল্পে বিশেষ অবদান। ২০২১ সালে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডকে বিভিন্ন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে এবং তারা জাপানসহ অন্যান্য দেশে খাদ্য পণ্য রপ্তানি করছে।

এই কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যানের নাম আতাউল করিমের সন্তান, যিনি তার বাবার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি আধুনিকীকরণ এবং বৈশ্বিক স্তরে প্রসারিত করার জন্য কাজ করছেন।

স্কয়ার গ্রুপ job circular

স্কয়ার গ্রুপ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ এর সর্বশেষ আপডেট পেতে আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করতে পারেন:

1. স্কয়ার গ্রুপের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট:

  • স্কয়ার গ্রুপের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট http://www.squaregroup.com/ এর কর্মসংস্থান বিভাগে নিয়মিত চেক করুন। তারা নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে সেখানে আপডেট থাকবে।

2. চাকরির ওয়েবসাইট:

  • বিভিন্ন চাকরির ওয়েবসাইট যেমন বিডিজবস, জবস সিকার, জবস নোটিশ বিডি ইত্যাদিতে নিয়মিত চেক করুন। স্কয়ার গ্রুপ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে সেখানেও আপডেট পাওয়া যাবে।

3. সোশ্যাল মিডিয়া:

  • স্কয়ার গ্রুপের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ, টুইটার অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি ফলো করুন। তারা নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে সেখানেও আপডেট পাওয়া যাবে।

4. নিউজপেপার:

  • দৈনিক প্রথম আলো, ইত্তেফাক, দৈনিক সমকাল, দৈনিক মানবজমিন ইত্যাদি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নিয়মিত চেক করুন। স্কয়ার গ্রুপ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে সেখানেও আপডেট পাওয়া যাবে।

5. জবস নোটিশ বিডি:

  • জবস নোটিশ বিডি ওয়েবসাইটে স্কয়ার গ্রুপ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কিত সর্বশেষ আপডেট পাওয়া যাবে।

স্কয়ার গ্রুপের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ এর জন্য সর্বশেষ আপডেট পেতে নিজেকে সচেতন রাখুন এবং উপরের পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করুন।

স্কয়ার গ্রুপ উন্নতি

স্কয়ার গ্রুপ: বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠিত শিল্প সম্রাট

স্কয়ার গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ এবং প্রতিষ্ঠিত শিল্প কংগ্লোমেরেট। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে এই প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন শিল্পে যেমন ফার্মাসিউটিক্যালস, টয়লেট্রিজ, খাদ্য ও পানীয়, প্যাকেজিং এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে স্কয়ার গ্রুপের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে।

স্কয়ার গ্রুপের উন্নতির গল্প

স্কয়ার গ্রুপের যাত্রা শুরু হয় একটি ছোট্ট ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি হিসেবে। কিন্তু দৃঢ় সংকল্প এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। স্কয়ার গ্রুপের উন্নতির পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে:

  • উদ্ভাবন: স্কয়ার গ্রুপ নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবন করে বাজারে নিয়ে আসছে। এছাড়াও, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা উৎপাদন খরচ কমিয়ে এবং পণ্যের মান বাড়িয়েছে।
  • মানসম্পন্ন পণ্য: স্কয়ার গ্রুপ সর্বদা মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়েছে। এ কারণে গ্রাহকদের মধ্যে স্কয়ার গ্রুপের পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
  • বাজারজাতকরণ: স্কয়ার গ্রুপ বিভিন্ন ধরনের বাজারজাতকরণ কৌশল ব্যবহার করে তাদের পণ্যের প্রচার করে। এছাড়াও, তারা বিভিন্ন ধরনের বিক্রয় চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের পণ্য বিক্রি করে।
  • সামাজিক দায়িত্ব: স্কয়ার গ্রুপ সামাজিক দায়িত্ব পালন করে। তারা বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজ করে এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখে।

স্কয়ার গ্রুপের ভবিষ্যৎ

স্কয়ার গ্রুপের ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। তারা বিভিন্ন নতুন ক্ষেত্রে যেমন পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, ই-কমার্স ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করছে। এছাড়াও, তারা বিদেশী বাজারে তাদের পণ্য রপ্তানি করার জন্য কাজ করছে।

স্কয়ার গ্রুপের মতো একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি আশীর্বাদ। তারা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং ভবিষ্যতেও এই ভূমিকা পালন করে যাবে।

স্কয়ার গ্রুপের পণ্য বা সেবার তালিকা

স্কয়ার গ্রুপ একটি বহুজাতিক কোম্পানি, যা বাংলাদেশে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা সরবরাহ করছে। তাদের প্রধান পণ্য এবং সেবাগুলির মধ্যে নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্ত:

  1. ফার্মাসিউটিক্যালস: স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড বাংলাদেশে একটি শীর্ষস্থানীয় ঔষধ উৎপাদক। তাদের পণ্যগুলির মধ্যে সাধারণ ও বিশেষায়িত ঔষধ, ভ্যাকসিন, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পণ্য রয়েছে।
  2. খাদ্য ও বেভারেজ: স্কয়ার গ্রুপের খাদ্য এবং পানীয় বিভাগের মধ্যে পরিচিত ব্র্যান্ডগুলি হল রাধুনী, রুচি, এবং চাষি। তাদের পণ্যগুলির মধ্যে মসলা, সস, ভোজ্য তেল, মিষ্টি, ওয়াইন, এবং অন্যান্য খাদ্য উপকরণ অন্তর্ভুক্ত।
  3. টেক্সটাইল এবং পোশাক: স্কয়ার গ্রুপের টেক্সটাইল ডিভিশন গার্মেন্টস, ডেনিম, এবং অন্যান্য ফ্যাশন-সম্পর্কিত পণ্য উৎপাদন করে।
  4. স্বাস্থ্যসেবা সেবা: স্কয়ার গ্রুপের স্বাস্থসেবা সেক্টরের মধ্যে রয়েছে হাসপাতাল, ক্লিনিক, এবং অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা।
  5. কসমেটিক্স এবং হাইজিন পণ্য: স্কয়ার গ্রুপের কসমেটিক্স ও হাইজিন পণ্য যেমন সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, এবং অন্যান্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পণ্যও সরবরাহ করে।

এই পণ্য ও সেবাগুলি দেশের ভিতর ও বাইরের বাজারে স্কয়ার গ্রুপের অবস্থান শক্তিশালী করেছে।

স্কয়ার গ্রুপ প্রতিষ্ঠাতার পরিচয়

স্যামসন এইচ চৌধুরী

স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা: স্যামসন এইচ চৌধুরী

বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম অগ্রদূত এবং স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। তাঁর দূরদর্শিতা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজকের স্কয়ার গ্রুপ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠীগুলোর অন্যতম।

কে ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী?

স্যামসন এইচ চৌধুরী ছিলেন একজন দক্ষ ব্যবসায়ী এবং দূরদর্শী ভিশনারি। তিনি একটি ছোট্ট ওষুধের দোকান থেকে শুরু করে স্কয়ার গ্রুপকে একটি বহুমুখী শিল্প কংগ্লোমেরেটে পরিণত করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে স্কয়ার গ্রুপ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

স্কয়ার গ্রুপের যাত্রা

  • মূল: পাবনা
    • স্কয়ার গ্রুপের যাত্রা শুরু হয় পাবনার একটি ছোট্ট ওষুধের দোকান থেকে।
  • স্বপ্নের সূচনা:
    • স্যামসন এইচ চৌধুরী স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি গড়ে তোলার।
  • কঠিন পরিশ্রম:
    • তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং দৃঢ় সংকল্পের ফলে স্কয়ার ফার্মা দেশের অন্যতম বৃহৎ ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে পরিণত হয়।
  • বিস্তার:
    • ধীরে ধীরে স্কয়ার গ্রুপের ব্যবসা বিস্তার লাভ করে এবং বিভিন্ন খাতে যেমন খাদ্য, পানীয়, টয়লেট্রিজ, টেক্সটাইল ইত্যাদিতে নিজেদের জড়িয়ে দেয়।

স্যামসন এইচ চৌধুরীর অবদান

  • দেশীয় শিল্প: তিনি দেশীয় শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
  • রোজগার সৃষ্টি: স্কয়ার গ্রুপ হাজার হাজার মানুষের জন্য রোজগারের সুযোগ করে দিয়েছে।
  • সামাজিক দায়িত্ব: তিনি সামাজিক দায়িত্ব পালনে বিশ্বাসী ছিলেন এবং বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করেছেন।

স্যামসন এইচ চৌধুরী শুধুমাত্র একজন ব্যবসায়ী ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন দর্শন। তাঁর স্বপ্ন এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ স্কয়ার গ্রুপ বাংলাদেশের একটি অন্যতম শক্তিশালী ব্র্যান্ড।

স্কয়ার গ্রুপ হেড অফিস ও অন্যান্য অফিস

স্কয়ার গ্রুপের হেড অফিস ও অন্যান্য অফিস

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প কংগ্লোমেরেট স্কয়ার গ্রুপের বিভিন্ন শাখা এবং কার্যালয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত। এই প্রতিষ্ঠানের মূল কার্যালয় বা হেড অফিস ঢাকায় অবস্থিত।

স্কয়ার গ্রুপের হেড অফিস

  • অবস্থান: ঢাকা, বাংলাদেশ
  • কার্যক্রম: গোটা গ্রুপের সকল কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা।
  • সুযোগ-সুবিধা: আধুনিক অফিস সুবিধা, মিটিং রুম, কনফারেন্স রুম ইত্যাদি।
স্কয়ার গ্রুপ হেড অফিস ও অন্যান্য অফিস

স্কয়ার গ্রুপের অন্যান্য অফিস

স্কয়ার গ্রুপের বিভিন্ন শাখা এবং কার্যালয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কারখানা: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি বিশাল কারখানা রয়েছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ উৎপাদন করা হয়।
  • স্কয়ার টেক্সটাইল মিল: স্কয়ার গ্রুপের টেক্সটাইল শাখার বিভিন্ন মিল দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত।
  • স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানা: স্কয়ার গ্রুপের খাদ্য ও পানীয় শাখার কারখানাগুলিও দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত
  • স্কয়ার হাসপাতাল: স্কয়ার গ্রুপের অধীনে বিভিন্ন হাসপাতাল রয়েছে।

স্কয়ার গ্রুপের অফিসগুলোর গুরুত্ব

স্কয়ার গ্রুপের বিভিন্ন অফিস এবং কারখানা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলো হাজার হাজার মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয় এবং দেশের রপ্তানি আয় বাড়াতে সাহায্য করে।

স্কয়ার গ্রুপের মালিক কে

স্কয়ার গ্রুপের মালিকানা: এক নজরে

স্কয়ার গ্রুপ বাংলাদেশের একটি বহুজাতিক বৃহৎ শিল্প গ্রুপ। এই প্রতিষ্ঠানটির মূল প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। তিনি একটি ছোট্ট ওষুধের দোকান থেকে শুরু করে স্কয়ার গ্রুপকে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠীগুলোর অন্যতম করে তুলেছিলেন।

স্যামসন এইচ চৌধুরী: স্কয়ার গ্রুপের ভিত্তিপ্রস্তর

  • প্রতিষ্ঠাতা: স্যামসন এইচ চৌধুরী স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর দূরদর্শিতা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজকের স্কয়ার গ্রুপ।
  • দৃঢ় সংকল্প: তিনি একটি ছোট্ট ওষুধের দোকান থেকে শুরু করে স্কয়ার গ্রুপকে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠীতে পরিণত করেছিলেন।
  • উত্তরাধিকার: বর্তমানে চৌধুরী পরিবার স্কয়ার গ্রুপের মালিকানা পরিচালনা করে।

বর্তমানে কার হাতে স্কয়ার গ্রুপ?

বর্তমানে স্কয়ার গ্রুপের মালিকানা চৌধুরী পরিবারের হাতেই রয়েছে। স্যামসন এইচ চৌধুরীর পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা এই বিশাল শিল্প সাম্রাজ্যের দায়িত্ব পালন করছেন।

মনে রাখবেন: কোনো বড় কোম্পানির মালিকানা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রায়শই গোপনীয় রাখা হয়। তবে, স্কয়ার গ্রুপের ক্ষেত্রে এটি স্পষ্ট যে চৌধুরী পরিবার এই প্রতিষ্ঠানের মূল মালিক।

স্কয়ার গ্রুপের বর্তমান অবস্থা

স্কয়ার গ্রুপ আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তারা বিভিন্ন খাতে যেমন ফার্মাসিউটিক্যালস, টয়লেট্রিজ, খাদ্য ও পানীয়, প্যাকেজিং এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে স্কয়ার গ্রুপের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে।

স্কয়ার গ্রুপের মালিকানা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য উপরের তথ্যগুলো যথেষ্ট। স্যামসন এইচ চৌধুরী যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা আজও বাস্তবে রূপ নিচ্ছে চৌধুরী পরিবারের হাত ধরে।

স্কয়ার গ্রুপের মালিকের নাম কি

স্কয়ার গ্রুপের মালিকের নাম স্যামসন এইচ চৌধুরী। তিনি স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান। স্যামসন চৌধুরী বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় উদ্যোক্তা এবং শিল্পপতি, যিনি স্কয়ার গ্রুপকে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

স্কয়ার গ্রুপের ইতিহাস

স্কয়ার গ্রুপের ইতিহাস: বাংলাদেশের একটি অনন্য সাফল্য গাঁথা

বাংলাদেশের ব্যবসায়িক জগতে স্কয়ার গ্রুপের নামটি সবার কাছে পরিচিত। একসময় ছোট্ট একটি ফার্মেসি থেকে শুরু হওয়া এই গ্রুপটি আজ দেশের অন্যতম বৃহৎ এবং বৈচিত্র্যময় শিল্প সমूह। আসুন জেনে নিই স্কয়ার গ্রুপের ইতিহাস সম্পর্কে।

একটি ছোট্ট শুরু

  • ১৯৫৮: স্যামসন এইচ চৌধুরী এবং তার তিন বন্ধু মিলে পাবনায় একটি ছোট্ট ফার্মেসি হিসেবে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিষ্ঠা করেন।
  • মূলধন: তাদের মোট বিনিয়োগ ছিল মাত্র ২০ হাজার টাকা।
  • নামকরণ: চারজনের সমান বিনিয়োগের কারণে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় স্কয়ার।
  • প্রাথমিক লক্ষ্য: দেশীয় ওষুধ উৎপাদন এবং দেশের মানুষের সেবা করা।

ধীরে ধীরে বৃদ্ধি

  • ১৯৭১: স্বাধীনতা যুদ্ধের পর স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস দেশের ওষুধের বাজারে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করে।
  • ১৯৭৪: জনসন অ্যান্ড জনসনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে স্কয়ারের বাজারে প্রভাব আরো বৃদ্ধি পায়।
  • বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রসার: ফার্মাসিউটিক্যালস ছাড়াও স্কয়ার গ্রুপ টেক্সটাইল, অ্যাগ্রো-কেমিক্যালস, ভেটেরিনারি প্রোডাক্টস ইত্যাদি ক্ষেত্রেও কার্যক্রম শুরু করে।

একটি দৈত্যাকার শিল্প সম্রাট

  • বর্তমান অবস্থা: আজ স্কয়ার গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প সম্রাট।
  • কর্মচারী: প্রায় ৩৬,০০০ লোককে নিয়োগ করে।
  • বার্ষিক আয়: গড়ে বার্ষিক ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।
  • বিভিন্ন পণ্য: জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্য উৎপাদন করে।

সফলতার কারণ

  • দূরদর্শী নেতৃত্ব: স্যামসন এইচ চৌধুরীর দূরদর্শী নেতৃত্ব।
  • মানসম্পন্ন পণ্য: গুনগতমানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন।
  • ক্রমাগত উদ্ভাবন: নতুন নতুন পণ্য ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন।
  • সামাজিক দায়িত্ব: সামাজিক দায়িত্ববোধ।

ভবিষ্যৎ

  • বিশ্বব্যাপী প্রসার: স্কয়ার গ্রুপের লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প সম্রাট হয়ে ওঠা।
  • নতুন প্রযুক্তি: নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন ব্যবস্থা আরো উন্নত করা।
  • সাস্টেইনেবিলিটি: পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

স্কয়ার গ্রুপের ইতিহাস হলো বাংলাদেশের একটি অনন্য সাফল্য গাঁথা। একটি ছোট্ট ফার্মেসি থেকে শুরু করে আজ দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প সম্ভব হয়ে ওঠা স্কয়ার গ্রুপের সাফল্য অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।

স্কয়ার ঔষধ চাহিদা ও উৎপাদ

স্কয়ার ঔষধ: চাহিদা, উৎপাদন এবং ভবিষ্যৎ

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পে একটি অগ্রণী প্রতিষ্ঠান। একটি ছোট্ট ফার্মেসি থেকে শুরু করে আজ এটি দেশের সবচেয়ে বড় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি।

বাংলাদেশে ঔষধের চাহিদা

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার মান উন্নতির সাথে সাথে ঔষধের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে দীর্ঘস্থায়ী রোগ, সংক্রামক রোগ এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ঔষধের চাহিদা আরো বেড়েছে।

স্কয়ারের উৎপাদন ক্ষমতা

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস দেশের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ উৎপাদন করে। এদের উৎপাদন ক্ষমতা এবং বিস্তৃত পণ্যের তালিকা এই প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের ঔষধ বাজারে অনন্য করে তুলেছে।

  • বিভিন্ন ধরনের ঔষধ: স্কয়ার বিভিন্ন ধরনের ঔষধ উৎপাদন করে, যেমন:
    • অ্যান্টিবায়োটিক
    • পেইনকিলার
    • হার্টের রোগের ঔষধ
    • ডায়াবেটিসের ঔষধ
    • অন্যান্য ক্রনিক রোগের ঔষধ
  • উৎপাদন কারখানা: স্কয়ারের আধুনিক উৎপাদন কারখানাগুলো আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলে।

স্কয়ারের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ

  • চ্যালেঞ্জ:
    • কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি
    • নকল ওষুধের সমস্যা
    • আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা
  • সুযোগ:
    • দেশীয় বাজারের বিস্তার
    • আফ্রিকা ও এশিয়ার অন্যান্য দেশে রপ্তানি
    • নতুন নতুন ঔষধ উদ্ভাবন

ভবিষ্যৎ

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ভবিষ্যতে আরো বড় হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। তারা নতুন নতুন ঔষধ উদ্ভাবন, উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছে।

  • নতুন ঔষধ উদ্ভাবন: স্কয়ার গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করে নতুন নতুন ঔষধ উদ্ভাবনের চেষ্টা করছে।
  • আন্তর্জাতিক বাজার: স্কয়ার আফ্রিকা ও এশিয়ার অন্যান্য দেশে রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।
  • ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন: স্কয়ার ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরো দক্ষ করে তুলতে চায়।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের উচ্চমানের ঔষধ এবং গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালী করছে। ভবিষ্যতে স্কয়ার আরো বড় হয়ে বাংলাদেশের একটি গর্ব হয়ে উঠবে বলে আশা করা যায়।

স্কয়ার গ্রুপ কত টাকার মালিক ও বছর আয়

স্কয়ার গ্রুপের মালিকানা এবং বার্ষিক আয় সম্পর্কে সঠিক এবং সর্বশেষ তথ্য পাওয়া কিছুটা কঠিন, কারণ বড় কোম্পানির মালিকানা এবং আয়ের তথ্য সাধারণত গোপনীয় থাকে।

তবে, আমরা কিছু তথ্য জানি:

  • স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা: স্যামসন এইচ চৌধুরী।
  • মূল ব্যক্তিত্ব: অঞ্জন চৌধুরী।
  • স্কয়ার গ্রুপের আকার: বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় সংস্থাগুলির মধ্যে একটি।
  • কর্মচারী: প্রায় ৬৫,০০০ (২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী)।
  • ব্যবসার পরিধি: ফার্মা, টেলিভিশন, হাসপাতাল, টয়লেট্রিজ, টেক্সটাইল, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইত্যাদি।
  • আয়: ২০২২ সালে স্কয়ার গ্রুপের আয় প্রায় ১.৫ বিলিয়ন টাকা ছিল।

কেন সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন:

  • বড় কোম্পানির ক্ষেত্রে: বড় কোম্পানিগুলো তাদের আর্থিক তথ্য সাধারণত গোপন রাখে।
  • নিয়মিত পরিবর্তন: কোম্পানির আয় বছরের পর বছর পরিবর্তিত হয়।
  • বিভিন্ন সূত্রে ভিন্ন তথ্য: বিভিন্ন সূত্রে স্কয়ার গ্রুপের আয় সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

আপনি আরও তথ্য কোথায় পাবেন:

  • স্কয়ার গ্রুপের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট: সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্যের জন্য স্কয়ার গ্রুপের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন।
  • বিনিয়োগ বিশ্লেষণ ওয়েবসাইট: বিভিন্ন বিনিয়োগ বিশ্লেষণ ওয়েবসাইটে স্কয়ার গ্রুপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
  • ব্যবসায় সংবাদপত্র: ব্যবসায় সংক্রান্ত সংবাদপত্রে স্কয়ার গ্রুপের আর্থিক প্রতিবেদন সম্পর্কে খবর পাওয়া যেতে পারে।

মনে রাখবেন:

  • আনুমানিক তথ্য: উপরের তথ্যগুলি আনুমানিক এবং সর্বশেষ নাও হতে পারে।
  • বিস্তারিত তথ্যের জন্য: সঠিক এবং বিস্তারিত তথ্যের জন্য উপরের উৎসগুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন।

স্কয়ার গ্রুপ কোন দেশের

স্কয়ার গ্রুপ বাংলাদেশের একটি বহুজাতিক বৃহৎ শিল্প গ্রুপ।

স্কয়ার গ্রুপের একটি সংক্ষিপ্ত পরিচয়:

  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৫৮ সালে স্যামসন এইচ চৌধুরী স্কয়ার গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন।
  • মূল কার্যক্রম: ঔষধ উৎপাদন, ফার্মাসিউটিক্যালস, কৃষি, ব্যাংকিং এবং অন্যান্য শিল্প।
  • সদর দপ্তর: ঢাকা, বাংলাদেশ।
  • কার্যক্রমের পরিধি: বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্কয়ার গ্রুপের কার্যক্রম চলে।

স্কয়ার গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস:

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশের একটি অন্যতম বড় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি স্কয়ার গ্রুপের অন্তর্গত।

স্কয়ার গ্রুপের সাফল্যের কিছু কারণ:

  • দৃঢ় নেতৃত্ব: স্যামসন এইচ চৌধুরীর দূরদর্শী নেতৃত্ব স্কয়ার গ্রুপকে সফল করে তোলে।
  • মানসম্পন্ন পণ্য: স্কয়ার গ্রুপ সর্বদা মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের দিকে জোর দেয়।
  • গবেষণা ও উন্নয়ন: নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবনের জন্য স্কয়ার গ্রুপ গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করে।
  • বিশ্বব্যাপী উপস্থিতি: স্কয়ার গ্রুপ বাংলাদেশের বাইরেও নিজের ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে।

স্কয়ার গ্রুপ বাংলাদেশের শিল্প জগতে একটি অন্যতম প্রভাবশালী সংস্থা। এই গ্রুপটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

Leave a Comment