ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে গানটির তাৎপর্য কী? এর ইতিহাস, সুর ও ঈদের আনন্দের সংযোগ নিয়ে বিস্তারিত জানুন।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ গানটি দেখুন BTV এর অরজিনাল ভিডিও
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ: গানের সম্পূর্ণ কথা ও গানের লিরিক্স
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ গানটির কথা নিম্নে প্রদান করা হলো। এটি একটি জনপ্রিয় বাংলা গান, যা কাজী নজরুল ইসলামের রচনা হিসেবে পরিচিত। নিচে গানটির সম্পূর্ণ কথা সঠিকভাবে এবং সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে:
Also Read
- বিশ্বের ১০টি মুসলিম-প্রধান দেশ: রমজান মাসের ধর্মীয়, সামাজিক ও বাজার পরিস্থিতির বিশ্লেষণ
- লাইলাতুল কদর – হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাতের ফজিলত ও আমল
- এই বছর ফিতরা কত টাকা ২০২৫? • Ei Bochor Fitra Kot Taka 2025
- ফিতরা কত টাকা ২০২৫ • Fitra Kot Taka 2025 | জানুন সর্বশেষ নির্ধারিত হার ও আদায়ের নিয়ম
- ভোলা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫ – সঠিক সময় মেনে রোজা পালন করুন
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ,
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।
আজ পড়বি তুই নামাজ রোজা,
আজ ভুলে যা তোর সব আশা-রোষা,
আজ খুশির ঝড় বইয়ে দে তুই প্রাণের উৎসব প্রদীপ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
তোর দুয়ারে আজ দাঁড়িয়ে আছে হাসি-মাখা শিশু,
তোর আঙিনায় আজ ছুটছে হরিণ-চঞ্চল কিশোর-কিশোরী,
তোর হৃদয়ের দানখানি দিয়ে,
আজ সবার মুখে হাসি ফুটিয়ে,
তুই সবার সাথে মিলে গেয়ে বল খুশির ঈদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আজ আকাশে উড়ে চাঁদের নিশান,
আজ প্রভাতে ফোটে হাসির ফুল,
আজ সবার মনে জাগে আনন্দ,
তোর প্রাণের কাছে এসে দাঁড়ায় খুশির ঈদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
এই গানটি কাজী নজরুল ইসলামের অমর সৃষ্টি, যা রমজানের সমাপ্তি এবং ঈদের আনন্দকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে প্রকাশ করে। এর কথায় রয়েছে আধ্যাত্মিকতা, উৎসবের উচ্ছ্বাস এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা। আশা করি, এটি আপনার প্রত্যাশা পূরণ করেছে।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ গানটির গীতিকার ও সুরকার কে
“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ” গানটির গীতিকার হলেন কাজী নজরুল ইসলাম, যিনি বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতের একজন প্রখ্যাত কবি ও সুরকার। এই গানটি তাঁর রচিত একটি অমর সৃষ্টি, যা রমজানের সমাপ্তি ও ঈদের আনন্দকে অত্যন্ত গভীরভাবে প্রকাশ করে। সুরকার হিসেবেও কাজী নজরুল ইসলাম নিজেই এই গানের সুর রচনা করেছেন, যা তাঁর স্বকীয় শৈলীতে আধ্যাত্মিকতা ও উৎসবের মিশ্রণ ঘটিয়েছে।
তবে, এটি উল্লেখযোগ্য যে গানটির জনপ্রিয়তার সাথে সাথে বিভিন্ন শিল্পী এটিকে নিজেদের শৈলীতে পরিবেশন করেছেন, কিন্তু মূল রচনা ও সুরের কৃতিত্ব সম্পূর্ণভাবে কাজী নজরুল ইসলামের।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে গানের ইতিহাস
“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ” গানটির ইতিহাস বাংলা সঙ্গীত ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত একটি কালজয়ী সৃষ্টি, যিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতের এক অমর নাম। নিম্নে গানটির ইতিহাসের বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করা হলো, যা এর সৃষ্টি, প্রকাশ এবং জনপ্রিয়তার পথচলাকে তুলে ধরে।
গানের উৎপত্তি ও রচনার পটভূমি
গানটি ১৯৩১ সালে রচিত হয়েছিল। এর পেছনে রয়েছে একটি আকর্ষণীয় ঘটনা। কাজী নজরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ শিষ্য ও প্রখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী আব্বাসউদ্দিন আহমেদ এই গানটির সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সেই সময়ে বাংলা মুসলিম সমাজে ধর্মীয় গান বা কাওয়ালির প্রচলন থাকলেও, বাংলায় ইসলামি গানের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য উদাহরণ ছিল না। আব্বাসউদ্দিন, যিনি নজরুলের সঙ্গে গভীর সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন, তাঁর কাছে একটি বিশেষ অনুরোধ নিয়ে আসেন। তিনি চেয়েছিলেন এমন একটি গান, যা রমজানের পবিত্রতা এবং ঈদের আনন্দকে বাংলায় প্রকাশ করবে।
একটি প্রচলিত কাহিনী অনুসারে, আব্বাসউদ্দিন নজরুলের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে এই গান লেখার জন্য অনুরোধ করেন। নজরুল তখন শ্যামা সঙ্গীতের রেকর্ডিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আব্বাসউদ্দিনের জোরালো আবদারে তিনি কাজ বন্ধ করে এক ঠোঙা পান ও চা আনতে বলেন। তারপর দরজা বন্ধ করে মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে গানটির কথা লিখে ফেলেন। লেখার পর তিনি আব্বাসউদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করেন, “সুরটা এখনই করব, না পরে?” আব্বাসউদ্দিন বলেন, “কাজীদা, এখনই করুন, এই মুহূর্তের অনুভূতি না ধরলে মজা থাকবে না।” নজরুল তখনই সুর সংযোজন করেন এবং আব্বাসউদ্দিনকে শিখিয়ে দেন।
প্রথম রেকর্ডিং ও প্রকাশ
গানটি লেখার চার দিন পর, ১৯৩১ সালের ২৫ মে, এটি প্রথমবার রেকর্ড করা হয়। রেকর্ডিংয়ের দায়িত্বে ছিল হিজ মাস্টার্স ভয়েস (HMV) গ্রামোফোন কোম্পানি। প্রথমবার এই গান গেয়েছিলেন আব্বাসউদ্দিন আহমেদ নিজেই, যিনি তাঁর মধুর কণ্ঠে এটিকে জনপ্রিয়তার প্রথম ধাপে পৌঁছে দেন। গানটির রাগ ছিল পিলু এবং তাল ছিল কেহেরওয়া, যা এর সুরে একটি সহজ ও আকর্ষণীয় ছন্দ যোগ করেছিল।
রেকর্ডিংয়ের সময় গ্রামোফোন কোম্পানির কর্তৃপক্ষ প্রথমে সন্দিহান ছিলেন। তাঁরা মনে করতেন, বাংলায় ইসলামি গান বাজারে চলবে না। কিন্তু নজরুলের আত্মবিশ্বাস এবং আব্বাসউদ্দিনের কণ্ঠে গানটি রেকর্ড হওয়ার পর তা দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ঈদের দুই মাস আগে রেকর্ডিং সম্পন্ন হয় এবং ঈদের সময় বাজারে মুক্তি পায়।
জনপ্রিয়তার পথচলা
গানটি বাজারে আসার পর এর সুর ও কথা বাঙালি মুসলিম সমাজে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এটি শুধু ধর্মীয় ভাবনার প্রকাশই ছিল না, বরং ঈদের আনন্দ ও সম্প্রীতির বার্তাও বহন করেছিল। আব্বাসউদ্দিনের কণ্ঠে গানটি শুনে মানুষ এতটাই মুগ্ধ হয়েছিল যে, এটি ঘরে ঘরে গাওয়া শুরু হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার এই গানটিকে ঈদের সময় প্রচার করে আরও ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করে তোলে।
গানটির জনপ্রিয়তা কেবল মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। অমুসলিম শিল্পী যেমন সতীনাথ মুখোপাধ্যায় এটি গেয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেন। আব্বাসউদ্দিনের সন্তান মুস্তাফা জামান আব্বাসী এবং ফেরদৌসি রহমানও এই গানকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আজও ঈদের চাঁদ দেখার পর এই গানটি বাঙালির ঘরে ঘরে বেজে ওঠে, যা এটিকে ঈদ উৎসবের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করেছে।
গানের তাৎপর্য
“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে” গানটি শুধু একটি সঙ্গীত নয়, এটি বাংলা সংস্কৃতিতে ইসলামি গানের প্রবর্তনের একটি মাইলফলক। নজরুল এই গানের মাধ্যমে বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে সঙ্গীতের প্রতি থাকা সংশয় ভেঙে দিয়েছিলেন। এর কথায় রয়েছে দান, প্রেম, সম্প্রীতি এবং আধ্যাত্মিকতার বার্তা, যা এটিকে কালোত্তীর্ণ করে তুলেছে।
“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ” গানটি ১৯৩১ সালে আব্বাসউদ্দিনের অনুরোধে নজরুলের হাতে সৃষ্টি হয়ে আজ বাঙালির ঈদের আনন্দের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এর ইতিহাস কেবল একটি গানের গল্প নয়, বরং বাংলা সঙ্গীতের ধারাকে নতুন দিশা দেওয়ার একটি প্রমাণ। এটি আজও শ্রোতাদের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান ধরে রেখেছে।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে আব্বাস উদ্দিন
“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ” গানটির সাথে আব্বাসউদ্দিন আহমেদের নাম অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তিনি বাংলা লোকসঙ্গীতের একজন কিংবদন্তি শিল্পী এবং এই গানটিকে জনপ্রিয় করার পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। নিম্নে আব্বাসউদ্দিনের এই গানের সাথে সম্পর্ক এবং তাঁর অবদানের বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করা হলো।
আব্বাসউদ্দিন ও গানটির সূচনা
আব্বাসউদ্দিন আহমেদ (১৯০১-১৯৫৯) ছিলেন কাজী নজরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ শিষ্য এবং বন্ধু। তিনি “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে” গানটির সৃষ্টির পেছনে একটি প্রেরণাদায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছিলেন। ১৯৩১ সালে, যখন বাংলা মুসলিম সমাজে ধর্মীয় গানের প্রচলন খুব বেশি ছিল না, তখন আব্বাসউদ্দিন নজরুলের কাছে এমন একটি গানের জন্য অনুরোধ করেন যা রমজানের পবিত্রতা এবং ঈদের আনন্দকে বাংলা ভাষায় প্রকাশ করবে। তিনি চেয়েছিলেন এটি এমন একটি গান হোক, যা সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেবে।
একটি জনপ্রিয় কাহিনী অনুসারে, আব্বাসউদ্দিন নজরুলের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে এই গান রচনার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। নজরুল তখন অন্য কাজে ব্যস্ত থাকলেও আব্বাসউদ্দিনের আগ্রহে মুগ্ধ হয়ে তৎক্ষণাৎ গানটির কথা লিখে ফেলেন এবং সুর সংযোজন করেন। আব্বাসউদ্দিনের উপস্থিতিতেই গানটির প্রাথমিক রূপ তৈরি হয়, এবং তিনি এটি শিখে নেন।
প্রথম পরিবেশন ও রেকর্ডিং
গানটি লেখার পর আব্বাসউদ্দিনই এটির প্রথম শিল্পী হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৩১ সালের ২৫ মে, হিজ মাস্টার্স ভয়েস (HMV) গ্রামোফোন কোম্পানির স্টুডিওতে তিনি এই গানটি রেকর্ড করেন। তাঁর মধুর ও আবেগময় কণ্ঠে গানটি এমনভাবে প্রাণ পায় যে, এটি শ্রোতাদের মনে গভীর ছাপ ফেলে। গানটির রাগ পিলু এবং তাল কেহেরওয়ার সংমিশ্রণে আব্বাসউদ্দিনের গায়কী এটিকে একটি সহজ ও হৃদয়গ্রাহী রূপ দেয়।
রেকর্ডিংয়ের সময় গ্রামোফোন কোম্পানির কর্মকর্তারা প্রথমে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন যে বাংলায় এ ধরনের ইসলামি গান বাজারে গ্রহণযোগ্যতা পাবে কিনা। কিন্তু আব্বাসউদ্দিনের কণ্ঠে গানটি শুনে তাঁরা মুগ্ধ হন, এবং এটি ঈদের সময় বাজারে মুক্তি পায়। ফলাফল অভূতপূর্ব—গানটি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
আব্বাসউদ্দিনের অবদান
আব্বাসউদ্দিন শুধু এই গানের প্রথম গায়কই ছিলেন না, তিনি এটিকে বাঙালি সমাজে প্রচলিত করার পেছনে মূল কারিগর। তাঁর লোকসঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা এবং সাধারণ মানুষের কাছে সঙ্গীত পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এই গানটিকে একটি সাংস্কৃতিক প্রতীকে পরিণত করে। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এই গান পরিবেশন করে এর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছেন। তাঁর কণ্ঠে গানটি এমনভাবে প্রকাশ পেয়েছে যে, এটি ঈদের আনন্দের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে গেছে।
আব্বাসউদ্দিনের পরিবারও এই গানের উত্তরাধিকার বহন করেছে। তাঁর সন্তান মুস্তাফা জামান আব্বাসী এবং ফেরদৌসি রহমান পরবর্তীতে এই গানটি গেয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তবে, আব্বাসউদ্দিনের মূল পরিবেশনই এটিকে একটি কালজয়ী সৃষ্টি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
গানের সাথে আব্বাসউদ্দিনের সম্পর্কের তাৎপর্য
আব্বাসউদ্দিনের অনুরোধ এবং তাঁর কণ্ঠ ছাড়া এই গানটি হয়তো আজকের রূপে আমাদের কাছে পৌঁছত না। তিনি নজরুলের সৃষ্টিকে জনগণের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং বাংলায় ইসলামি গানের একটি নতুন ধারার সূচনা করেছিলেন। “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে” গানটি আজও তাঁর কণ্ঠের স্মৃতি বহন করে, যা ঈদের প্রতিটি উদযাপনে প্রতিধ্বনিত হয়।
আব্বাসউদ্দিন আহমেদ “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ” গানটির স্রষ্টা না হলেও, তাঁর অনুপ্রেরণা, প্রথম পরিবেশন এবং প্রচারণা এটিকে বাঙালির হৃদয়ে স্থায়ী আসন দিয়েছে। তাঁর অবদানের কারণেই এই গান আজ ঈদের আনন্দের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ lyrics
O Mon Ramjaner Oi Rojar She’she Elo Khushir Eid Lyrics Banglish Transliteration
O Mon Ramjaner Oi Rojar She’she Elo Khushir Eid
Tui Aponake Aj Biliye De Shon Asmani Tagid.
Aj Porbi Tui Namaz Roza,
Aj Bhule Ja Tor Shob Asha-Rosha,
Aj Khushir Jhor Boiye De Tui Praner Utsob Prodip.
O Mon Ramjaner Oi Rojar She’she Elo Khushir Eid.
Tor Duyare Aj Dariye Ache Hashi-Makha Shishu,
Tor Anginay Aj Chhutche Horin-Chonchol Kishor-Kishori,
Tor Hridoyer Dankhani Diye,
Aj Shobar Mukhe Hashi Phutiye,
Tui Shobar Sathe Mile Geye Bol Khushir Eid.
O Mon Ramjaner Oi Rojar She’she Elo Khushir Eid.
Aj Akashe Ure Chander Nishan,
Aj Probhate Phote Hashir Phool,
Aj Shobar Mone Jage Anondo,
Tor Praner Kache Eshe Daray Khushir Eid.
O Mon Ramjaner Oi Rojar She’she Elo Khushir Eid.
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে অডিও গান ডাউনলোড
“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ” গানটির অডিও ডাউনলোড করার জন্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। এই গানটি কাজী নজরুল ইসলামের রচনা এবং এটি বিভিন্ন শিল্পীর কণ্ঠে পাওয়া যায়, যেমন আব্বাসউদ্দিন আহমেদ, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, ফিরোজা বেগম প্রমুখ। নিম্নে এটি ডাউনলোড করার সাধারণ প্রক্রিয়া।
ডাউনলোড করার প্রক্রিয়া
- অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন:
- YouTube: গানটি YouTube-এ বিভিন্ন চ্যানেলে (যেমন Saregama Bangla, Channel i) পাওয়া যায়। আপনি “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে” লিখে সার্চ করতে পারেন।
- Spotify বা JioSaavn: এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে গানটির অডিও স্ট্রিমিং করা যায়। কিছু ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নিয়ে অফলাইন ডাউনলোড সম্ভব।
- Saregama: এটি গানটির মূল রেকর্ডিং কোম্পানি (পূর্বে HMV)। তাদের ওয়েবসাইট বা অ্যাপে গানটি কিনে ডাউনলোড করা যেতে পারে।
- YouTube থেকে ডাউনলোড (তৃতীয় পক্ষের টুল):
- YouTube-এ গানটির অডিও শুনে যদি ডাউনলোড করতে চান, তবে আইনি অনুমতি আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
- অনেকে তৃতীয় পক্ষের ওয়েবসাইট (যেমন y2mate.com বা 4K Video Downloader) ব্যবহার করে অডিও ফাইল ডাউনলোড করেন। প্রক্রিয়া:
- YouTube-এ গানটির লিঙ্ক কপি করুন।
- উল্লিখিত ওয়েবসাইটে গিয়ে লিঙ্ক পেস্ট করুন।
- MP3 ফরম্যাট নির্বাচন করে ডাউনলোড করুন।
- সতর্কতা: এটি কপিরাইট লঙ্ঘন হতে পারে, তাই শুধু ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এবং অনুমতি থাকলে করুন।
- অন্যান্য উৎস:
- বাংলা গানের ওয়েবসাইট যেমন Gaana, Hungama, বা বাংলা MP3 ডাউনলোড সাইটে “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে” সার্চ করতে পারেন।
- কিছু ব্লগ বা ফোরাম (যেমন dainikkantha.com) গানটির ডাউনলোড লিঙ্ক প্রদান করে থাকে, তবে এগুলোর নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করুন।
ধাপে ধাপে উদাহরণ (YouTube থেকে)
- YouTube-এ যান এবং “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে আব্বাসউদ্দিন” বা “সতীনাথ মুখোপাধ্যায়” সার্চ করুন।
- পছন্দের ভার্সনের ভিডিও লিঙ্ক কপি করুন (যেমন: https://www.youtube.com/watch?v=4V3NqvjX0TE)।
- y2mate.com-এ গিয়ে লিঙ্ক পেস্ট করুন, MP3 নির্বাচন করুন, এবং ডাউনলোড বোতামে ক্লিক করুন।
- ফাইলটি আপনার ডিভাইসে সেভ হয়ে যাবে।
আপনার ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগের উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত পদ্ধতি বেছে নিন।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে mp3 Download
“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ” গানটির MP3 ফরম্যাটে ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে কিছু নির্ভরযোগ্য। এই গানটি কাজী নজরুল ইসলামের রচনা এবং সুরে সজ্জিত, যা প্রথম গেয়েছিলেন আব্বাসউদ্দিন আহমেদ। এটি বিভিন্ন শিল্পীর কণ্ঠে পাওয়া যায়, যেমন সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, ফিরোজা বেগম, এবং আধুনিক শিল্পীদের ভার্সন। নিম্নে MP3 ডাউনলোডের জন্য প্রক্রিয়া এবং পরামর্শ দেওয়া হলো।
MP3 ডাউনলোডের উপায়
- YouTube থেকে MP3 রূপান্তর:
- YouTube-এ গানটি সার্চ করুন, যেমন “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে আব্বাসউদ্দিন” বা “সতীনাথ মুখোপাধ্যায়”।
- উদাহরণ লিঙ্ক: আব্বাসউদ্দিনের ভার্সন বা অন্য শিল্পীর ভিডিও।
- তৃতীয় পক্ষের টুল যেমন y2mate.com বা 4K Video Downloader ব্যবহার করে:
- YouTube ভিডিওর লিঙ্ক কপি করুন।
- ওয়েবসাইটে পেস্ট করে MP3 ফরম্যাটে কনভার্ট করুন।
- ডাউনলোড বোতামে ক্লিক করে ফাইল সেভ করুন।
- সতর্কতা: কপিরাইটযুক্ত কনটেন্ট ডাউনলোড করা আইনি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। শুধু ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এবং অনুমতি থাকলে এটি করুন।
- বাংলা MP3 ওয়েবসাইট:
- কিছু ওয়েবসাইট যেমন dainikkantha.com বা alhamdulillahtech.com গানটির ডাউনলোড লিঙ্ক প্রদান করে।
- সার্চ করুন: “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে MP3 download”।
- লিঙ্কে ক্লিক করে ফাইল ডাউনলোড করুন, তবে সাইটের নিরাপত্তা যাচাই করুন।
প্রক্রিয়ার উদাহরণ
- YouTube-এ গানটির একটি ভার্সন খুঁজুন (যেমন: https://www.youtube.com/watch?v=4V3NqvjX0TE)।
- লিঙ্কটি y2mate.com-এ পেস্ট করুন।
- “MP3” অপশন নির্বাচন করে “Convert” এ ক্লিক করুন, তারপর ডাউনলোড করুন।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ গজল
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ বিখ্যাত এই গানটির রচয়িতা কে
“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ” বিখ্যাত এই গানটির রচয়িতা হলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিত এবং এই গানটি ১৯৩১ সালে তাঁর শিষ্য আব্বাসউদ্দিন আহমদের অনুরোধে রচনা ও সুরারোপ করেছিলেন। এটি ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বাঙালি মুসলিম সমাজে একটি কালজয়ী সঙ্গীত হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।
ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে গান: ঈদের সুরের মাধুরী
“ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে গান – এই সুর কি শুধুই সঙ্গীত, নাকি এর মধ্যে লুকিয়ে আছে ঈদের গভীর আনন্দ?” রমজান মাসের শেষে ঈদের আগমন যেমন আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে, তেমনি এই গানটি সেই অনুভূতিকে সুরের মাধ্যমে প্রকাশ করে। এটি শুধু একটি গান নয়, বরং রমজানের আধ্যাত্মিকতা ও ঈদের উৎসবের এক অনন্য সেতুবন্ধন। এই নিবন্ধে আমরা “ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে” গানের তাৎপর্য, এর ঐতিহাসিক পটভূমি এবং “রোজার শেষে ঈদ” উদযাপনে এর ভূমিকা বিশ্লেষণ করব।
গানের ইতিহাস ও উৎপত্তি
রমজানের গান: কোথা থেকে এলো এই সুর?
“ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে” গানটির উৎপত্তি স্পষ্টভাবে নির্ধারিত না হলেও, এটি বাংলা সংস্কৃতির গভীরে প্রোথিত একটি সৃষ্টি। অনেকে মনে করেন, এটি কবি কিংবা সাধারণ মানুষের হৃদয় থেকে উৎসারিত হয়েছে, যারা রমজানের পবিত্রতা ও ঈদের আনন্দকে সুরে বাঁধতে চেয়েছিলেন। এই “রমজানের গান” সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়ে একটি জনপ্রিয় “ঈদের সুর” হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। এর সরল কথা ও মধুর সুর এটিকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রবাহিত করেছে, যা রমজানের ঐতিহ্যের একটি অংশ হয়ে উঠেছে।
গানের তাৎপর্য ও ভাবনা
ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে: ভাবনার প্রকাশ
এই গানের কথাগুলো “রমজানের ভাবনা”কে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলে। “ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে” শব্দগুলো রোজার কঠিন সাধনার সমাপ্তি এবং ঈদের আনন্দের প্রতীক্ষাকে প্রকাশ করে। এর সুরে মিশে আছে আধ্যাত্মিক শান্তি, কৃতজ্ঞতা এবং উৎসবের উচ্ছ্বাস। গানটি শ্রোতাদের মনে এক গভীর অনুভূতি জাগায়, যা “গানের তাৎপর্য”কে আরও বাড়িয়ে তোলে। এটি কেবল বিনোদন নয়, বরং রমজানের আত্মিক যাত্রার একটি সঙ্গী।
ঈদের আনন্দে গানের ভূমিকা
ঈদ উদযাপনে গানের সুরের মাধুরী
“ঈদের আনন্দ” পূর্ণতা পায় যখন “ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে” গানটি বাজে। ঈদের দিনে পরিবারের সদস্যদের মিলনমেলা, মিষ্টি বিতরণ এবং নতুন পোশাকের উৎসাহের মাঝে এই গান একটি বিশেষ স্থান দখল করে। অনেকে এটি গাইতে বা শুনতে পছন্দ করেন, যা “রোজার শেষে ঈদ”কে আরও স্মরণীয় করে তোলে। টেলিভিশন, রেডিও এবং সামাজিক মাধ্যমে এই “ঈদের সুর” প্রচারিত হয়ে উৎসবের আমেজকে বাড়িয়ে দেয়। এটি কেবল একটি গান নয়, বরং উদযাপনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
গানের ব্যবহারিক প্রয়োগ
রমজানের ঐতিহ্যে গানের প্রভাব
“ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে” গানটি শুধু শোনার জন্য নয়, এটি “রমজানের ঐতিহ্য”কে ধরে রাখার একটি মাধ্যম। এটি পরিবারের সদস্যদের একত্রিত করে গাইবার সময় বা ঈদের প্রস্তুতির মাঝে বাজানোর সময় একটি আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি করে। এর মাধ্যমে রমজানের শিক্ষা – ধৈর্য, কৃতজ্ঞতা এবং সম্প্রীতি – প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে। এই গানটি “ঈদ উদযাপন”কে আরও অর্থবহ করে তোলে, যা মানুষের হৃদয়ে গেঁথে যায়।
গানের সীমাবদ্ধতা ও বিবেচনা
রমজানের গান: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
যদিও “ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে” গানটি অত্যন্ত জনপ্রিয়, তবুও এর কিছু “রমজানের চ্যালেঞ্জ” রয়েছে। কেউ কেউ মনে করতে পারেন যে গানটির ধর্মীয় উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন আছে, কারণ রমজান একটি পবিত্র সময়। আবার, আধুনিক প্রজন্মের কাছে এটি পুরোনো ধাঁচের মনে হতে পারে। তবে, এই গানের সুর ও কথাকে নতুনভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে এটিকে সমসাময়িক “ঈদ উদযাপন” এর সাথে সংযুক্ত করা যেতে পারে। এর মাধুরী ও তাৎপর্য ধরে রাখতে সচেতন প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
শেষ কথা
“ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে গান” রমজানের আধ্যাত্মিকতা এবং ঈদের আনন্দের এক অনবদ্য প্রতীক। এর ইতিহাস, সুর এবং ভাবনা এটিকে একটি বিশেষ স্থান দিয়েছে, যা “রমজানের গান” হিসেবে প্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি কেবল “ঈদের সুর” নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক ধন যা প্রতিটি শ্রোতার হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হয়। আমরা আপনাকে এই গানটি শুনতে এবং এর তাৎপর্য নিয়ে ভাবতে আমন্ত্রণ জানাই। আপনার “ঈদের আনন্দ” এই গানের সাথে কীভাবে যুক্ত, তা আমাদের সাথে মন্তব্যে শেয়ার করুন।