ফিতরা কত টাকা ২০২৫ • Fitra Kot Taka 2025 | ২০২৫ সালে ফিতরা কত টাকা? জানুন ইসলামী বিধান অনুযায়ী সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ফিতরার হার, আদায়ের নিয়ম ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। বিস্তারিত জানতে পড়ুন!
২০২৫ সালে ফিতরা কত টাকা? জানুন সর্বশেষ নির্ধারিত হার ও আদায়ের নিয়ম
ফিতরা কী এবং কেন এটি আদায় করা হয়?
রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো সাদাকাতুল ফিতর বা সংক্ষেপে ফিতরা। এটি এমন একটি দান, যা প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য ফরজ। রমজান মাসে দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতরের আগেই এই দান প্রদান করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজের দরিদ্র ও অভাবী মানুষদের ঈদের আনন্দের অংশীদার করা এবং রোজার পবিত্রতা রক্ষা করা।
Also Read
- ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ গান: ঈদের গান, ঈদের নতুন গান
- বিশ্বের ১০টি মুসলিম-প্রধান দেশ: রমজান মাসের ধর্মীয়, সামাজিক ও বাজার পরিস্থিতির বিশ্লেষণ
- লাইলাতুল কদর – হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাতের ফজিলত ও আমল
- এই বছর ফিতরা কত টাকা ২০২৫? • Ei Bochor Fitra Kot Taka 2025
- ভোলা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫ – সঠিক সময় মেনে রোজা পালন করুন
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
“রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ফিতরা আদায় করা রোজাদারের জন্য পাপমুক্তির মাধ্যম এবং দরিদ্রদের খাদ্যের সংস্থান।” (আবু দাউদ)
২০২৫ সালে ফিতরার পরিমাণ কত?
২০২৫ সালের জন্য ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক নির্ধারিত সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ফিতরার হার নিচে দেওয়া হলো—
খাদ্যদ্রব্য | পরিমাণ | বাজারমূল্য (২০২৫) |
---|---|---|
গম বা আটা | ১.৬৫ কেজি | ১১০ টাকা |
যব | ৩.৩০ কেজি | ৫৩০ টাকা |
খেজুর | ৩.৩০ কেজি | ২,৩১০ টাকা |
কিশমিশ | ৩.৩০ কেজি | ১,৯৮০ টাকা |
পনির | ৩.৩০ কেজি | ২,৮০৫ টাকা |
📌 সর্বনিম্ন ফিতরা: ১১০ টাকা
📌 সর্বোচ্চ ফিতরা: ২,৮০৫ টাকা
💡 কেন বিভিন্ন পরিমাণ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়?
ইসলাম ধর্মে প্রত্যেক ব্যক্তি তার সামর্থ্য অনুযায়ী ফিতরা প্রদান করতে পারেন। কেউ চাইলে গমের মূল্যে ফিতরা দিতে পারেন, আবার কেউ চাইলে খেজুর বা কিশমিশের মূল্যে দিতে পারেন।
ফিতরা আদায়ের নিয়ম ও সময়
✅ ফিতরা আদায়ের সর্বোত্তম সময়: ঈদের নামাজের আগে ফিতরা প্রদান করা উত্তম। তবে রমজানের প্রথম দিকেই এটি আদায় করা যেতে পারে, যাতে গরিব-দুঃখীরা ঈদের প্রস্তুতি নিতে পারেন।
✅ ফিতরা কারা দিতে বাধ্য?
- প্রত্যেক মুসলিম, যাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মিটিয়ে অতিরিক্ত সম্পদ রয়েছে।
- পরিবারের শিশুদের ফিতরা অভিভাবকরা আদায় করবেন।
✅ কাদের ফিতরা দেওয়া যাবে?
- গরিব ও অভাবী মুসলিম
- এতিম ও বিধবা
- ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, যারা ঋণ শোধ করতে অপারগ
⚠️ কারা ফিতরা গ্রহণ করতে পারবেন না?
- ধনী ব্যক্তিরা
- নিজ পরিবারের সদস্যদের (যেমন, বাবা-মা, সন্তান)
ফিতরা আদায়ের সামাজিক ও আধ্যাত্মিক প্রভাব
📌 দরিদ্রদের সহায়তা: ঈদের দিন কেউ যেন অভুক্ত না থাকে, সেজন্য ফিতরা তাদের খাদ্য নিশ্চিত করে।
📌 আত্মার পরিশুদ্ধি: এক মাস সিয়াম সাধনার পর এই দান মুসলিমদের আত্মশুদ্ধির মাধ্যম।
📌 সমাজে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব: ধনী-গরিবের মধ্যে একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয়, যা ইসলামের সামাজিক নীতির অন্যতম অংশ।
উপসংহার: ঈদের আগেই ফিতরা আদায় করুন
২০২৫ সালে ফিতরা কত টাকা হবে, তা নিয়ে আর কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। সামর্থ্য অনুযায়ী যথাযথ পরিমাণে ফিতরা আদায় করা আমাদের দায়িত্ব।
📢 ঈদের আনন্দ সবার জন্য— দরিদ্রদের সহায়তা করুন এবং ফিতরা সময়মতো প্রদান করুন!