বিশ্ব ইজতেমা ২০২৫: তারিখ, সময়সূচি এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বিশ্ব ইজতেমা ২০২৫ সালের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের তারিখ ও সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। জানুন তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত এই বৃহৎ ইসলামী জমায়েত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, আখেরি মোনাজাতের সময়, অংশগ্রহণের নিয়মাবলি এবং আরও অনেক কিছু।

বিশ্ব ইজতেমা ২০২৫ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে, নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন:

বিশ্ব ইজতেমা ২০২৫: তারিখ, সময়সূচি এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বিশ্ব ইজতেমা ২০২৫: তুরাগ তীরে ইসলামের মহাসম্মেলন

বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত একটি বার্ষিক ইসলামি সমাবেশ, যা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় জমায়েত হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর লক্ষাধিক মুসল্লি এই ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেন, যা ইসলামী ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইজতেমার ইতিহাস ও গুরুত্ব

১৯৬৭ সালে শুরু হওয়া এই ইজতেমা তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো ইসলামের প্রচার, ঈমানি চেতনা বৃদ্ধি এবং মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য স্থাপন। ইজতেমায় বয়ান, তেলাওয়াত, নামাজ এবং বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা হয়।

২০২৫ সালের ইজতেমার তারিখ ও পর্বসমূহ

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইজতেমা দুই পর্বে বিভক্ত করা হয়েছে। ২০২৫ সালের জন্য নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী:

প্রথম পর্ব: ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি

দ্বিতীয় পর্ব: ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি

প্রথম পর্বে শুরায়ে নেজামের অনুসারীরা এবং দ্বিতীয় পর্বে সাদপন্থিরা ইজতেমার আয়োজন করবেন।

ইজতেমার আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা

ইজতেমার সময় মুসল্লিদের জন্য নিরাপত্তা, খাদ্য, পানি ও স্বাস্থ্যসেবার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে এই ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হয়, যাতে অংশগ্রহণকারীরা নির্বিঘ্নে ইবাদত ও ধর্মীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন।

আখেরি মোনাজাতের তাৎপর্য

ইজতেমার শেষ দিনে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়, যা ইজতেমার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। লাখো মুসল্লি একত্রে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও দোয়া করেন। এই মোনাজাত ইসলামী ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।

বিদেশি মুসল্লিদের অংশগ্রহণ

বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি মুসল্লিদের অংশগ্রহণ ইজতেমার আন্তর্জাতিক গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলে। তবে কিছু দেশের নাগরিকদের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়, যাতে ইজতেমার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে।

ইজতেমায় অংশগ্রহণের নির্দেশিকা

ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক মুসল্লিদের জন্য কিছু নির্দেশিকা রয়েছে:

নিবন্ধন: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করা।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা: স্বাস্থ্য সনদ সংগ্রহ করা।

নিরাপত্তা নির্দেশনা: আয়োজকদের নির্দেশনা মেনে চলা।

ইজতেমার প্রভাব ও গুরুত্ব

বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে। এটি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির প্রতীক এবং ইসলামী মূল্যবোধের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শেষ কথা

বিশ্ব ইজতেমা ২০২৫ সালে আবারও তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা লক্ষাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণে ইসলামী ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে উদযাপিত হবে। ইজতেমার সুষ্ঠু আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।

Leave a Comment

Advertisement