জানুন সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ১৩ দফা নতুন নির্দেশনা। বিদেশ ভ্রমণের সীমাবদ্ধতা, প্রয়োজনীয় শর্ত এবং নির্দেশনার বিস্তারিত তথ্য জানতে পড়ুন।

সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন করে ১৩ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। এই নির্দেশনার মাধ্যমে সরকারি অর্থে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে ভ্রমণ নির্ধারণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
Also Read
- Eco-Friendly Living: Top Sustainable Products for a Greener Home in Bangladesh
- ২০২৫ সালে অনলাইনে ভিসা চেক করুন — মাত্র ৫ মিনিটে!
- ডট বাংলা ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন: SEO প্রভাব ও খরচ সম্পর্কিত সবকিছু (A to Z Guide)
- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারি কি? ইতিহাস, বক্তব্য ও গান | ২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
- Banglalink Balance Check: How to Check Balance, Internet, SMS in 2025 via USSD, MyBL App, RYZE App & Website
২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সইয়ে এই নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বিদেশ ভ্রমণের খরচ কমানো এবং সরকারি কার্যক্রমকে আরও দক্ষ করার পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত।
১৩ দফা নির্দেশনার বিস্তারিত
১. সাধারণভাবে বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা:
সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ও সরকারি উভয় ধরনের বিদেশ ভ্রমণকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
২. ভ্রমণ তালিকা সংরক্ষণ:
বছরের সম্ভাব্য বিদেশ ভ্রমণের একটি তালিকা মন্ত্রণালয় ভিত্তিক ডেটাবেজে সংরক্ষণ করতে হবে।
- ডেটাবেজ তৈরি:
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে একটি ডেটাবেজ তৈরি হবে, যেখানে সব তথ্য সংরক্ষণ করা হবে।
৪. একাধারে বিদেশ ভ্রমণ এড়ানো:
সব স্তরের সরকারি কর্মকর্তা একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে যাবেন না।
৫. উপদেষ্টা ও সচিবের ভ্রমণ:
মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবের একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ সাধারণভাবে নিষিদ্ধ। তবে জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন হলে সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করতে হবে।
৬. প্রস্তাবিত কর্মকর্তার যোগ্যতা:
বিদেশ ভ্রমণের জন্য প্রস্তাবিত কর্মকর্তার যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা হবে।
৭. কেনাকাটার জন্য বিশেষজ্ঞ:
কেনাকাটা বা প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশনের মতো কাজে কেবল সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পাঠানো হবে।
৮. কম গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ বাদ:
সরকারি অর্থে কম প্রয়োজনীয় ভ্রমণ পুরোপুরি পরিহার করতে হবে।
৯. বিনোদন ভ্রমণ নিষিদ্ধ:
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিনোদনমূলক বিদেশ ভ্রমণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
১০. দীর্ঘমেয়াদি ছুটি:
সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষণ ছুটি গ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
১১. সেমিনার ও কর্মশালা:
বিদেশে সেমিনারে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আমন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য দেশের অংশগ্রহণকারীদের পর্যায় বিবেচনা করতে হবে।
১২. ভ্রমণের প্রস্তাব:
ভ্রমণের প্রস্তাব পাঠানোর সময় প্রয়োজনীয়তা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দক্ষতা উল্লেখ করতে হবে।
১৩. আগের ভ্রমণ বিবরণ:
ভ্রমণের প্রস্তাব পাঠানোর সময় প্রস্তাবিত কর্মকর্তার পূর্ববর্তী এক বছরের বিদেশ ভ্রমণের তথ্য যুক্ত করতে হবে।
নির্দেশনাগুলোর পেছনে কারণ
এই নির্দেশনাগুলোর লক্ষ্য হলো:
- সরকারি অর্থের সাশ্রয়।
- অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ হ্রাস।
- সরকারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের ১৩ দফা নির্দেশনা: প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: এই নির্দেশনার প্রধান উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: সরকারি অর্থ সাশ্রয় এবং অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা।
প্রশ্ন ২: সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ভ্রমণেও কি নিষেধাজ্ঞা আছে?
উত্তর: ব্যক্তিগত ভ্রমণে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা নেই, তবে সরকারি অর্থে করা ভ্রমণে কড়া নির্দেশনা রয়েছে।
প্রশ্ন ৩: ১৩ দফা নির্দেশনার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনটি?
উত্তর: সব স্তরের কর্মকর্তাদের একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ এবং অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়ানো।
শেষ কথা:
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের ১৩ দফা নির্দেশনা সরকারের খরচ সাশ্রয় এবং কার্যক্রমের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করলে সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন এবং শেয়ার করুন!